আপনার পাশের বাসার মুদি দোকান বা ভ্যারাইটিজের দোকানের কথা ধরুন,সহজে বোঝার খাতিরে আমাজন একটি অনলাইন দোকান মনে করতে পারেন যারা কোটি কোটি ডলার উপার্জন করে। অ্যামাজন বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত অনলাইন বিপণন প্ল্যাটফর্ম যা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এখানে আমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। আপনি যদি একজন আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে চান,তাহলে এই পুরো পোষ্টটি আপনার জন্য। আজব হলো আমাজন খুচরা বিক্রেতা হিসেবে ২০১৭ সালে আয় করে নিয়েছে ১৭৭.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ধরনের কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ছোট ব্যবসাকারী এবং বিপণনকারীদের(অনলাইন মার্কেটারদের) কাছে একটি আকর্ষণীয় ও বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম।অনলাইনে আয় নিয়ে আমাদের অনেকেরই আগ্রহ আছে। বিশেষ করে তরুন-তরুনী যারা ছাত্র কিংবা চাকরিজীবি যারা কাজের পাশাপাশি এক্সট্রা আরেকটা ইনকামের পথ হিসেবে অনলাইন থেকে আয় করতে চায়। ঠিক তাদের জন্যই অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যার মাধ্যমে করে আপনি মাসে ৩০০-৫০০ ডলার পর্যন্ত সহজেই ইনকাম করতে পারেন।
অ্যামাজন (Amazon) কি?
অ্যামাজন কে কে না চেনে? তারপর ও যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি, অ্যামাজন হলো পৃথিবীর সবথেকে বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইট। ১৯৯৪ সালের জুলাই এর ৪ তারিখ আমেরিকার ওয়াশিংটনে এ্যামাজন যাত্রা শুরু করে। আমাজন এর প্রতিষ্ঠাতার নাম জেফ বেজোস, শুরুতে অ্যামাজন তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শুধু মাত্র বই বিক্রি করলেও এখন নিত্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পন্যই বিক্রি করে থাকে। কিন্ত আপনি জানেন কি প্রতিদিন কত পন্য বিক্রি হয়?
২ কোটির ও বেশি!!! পৃথিবীর সবথেকে বড় ইকমার্স ওয়েবসাইট বলে কথা।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Amazon Affiliate) কি?
খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি প্রসেস যেখানে আপনি অ্যামাজন এর এক বা একাধিক পন্য অনলাইনে আপনার ওয়েবসাইটে প্রোমোট করবেন। আপনার করা প্রমোশন থেকে ওই পন্যটি বিক্রি হলে আপনি সেখান থেকে একট কমিশন পাবেন। নিচের ছবিটা দেখলে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারনা পাবেন।
ধরা যাক, অ্যামাজনে একটি টিভি সেল হচ্ছে ৫ হাজার ডলারে, এখন আপনার একটা ওয়েবসাইট আছে, যেখানে আপনি জানালেন যে এই টিভিটা বেশ ভালো। ওয়েবসাইটে ওই টিভি সম্পর্কে বিস্তারিত আপনি দিয়ে দিলেন। এরপর আপনার ওয়েবসাইট থেকে কোনো কেউ অ্যামাজনে গিয়ে যদি ওই টিভিটা কেনে তাহলে আপনি সেখান থেকে একটা এমাউন্ট কমিশন পাবেন। ধরাযাক সেটা ৪% অর্থাৎ ৫হাজার ডলারের একটা প্রোডাক্ট কেউ কিনলে সেখান থেকে আপনি ২০০ডলার পাবেন।
অ্যামাজন নিস সাইট কি?
নিস (Niche) শব্দের বাংলা অর্থ হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়। আপনি যখন অ্যামাজন নিস সাইট করবেন, তখন যেকোন একটা নির্দিষ্ট নিস বা বিষয়ের উপর ওয়েবসাইট বানাতে হবে। এরপর আপনার কাজ হবে আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইটে ভিজিটর পাঠানোর ব্যাবস্থা করা। নিস সাইট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, ট্রাভেল, টেক, হেলথ এগুলো ব্রড নিশ হিসেবে পরিচিত। আবার ট্রাভেলের মধ্যে হাইকিং, ক্যাম্পিং…. টেক এর মধ্যে মোবাইল, ক্যামেরা, হেডফোন এরকম সাব নিশ হতে পারে।
আবার কিছু ওয়েবসাইট হয় মাল্টি নিসের। এই ধরনের ওয়েবসাইটে কিচেন, ট্রাভেল, হোমইম্প্রুভমেন্ট সহ সব ধরনের ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট ই রিভিউ করা হয়। তবে অতি সম্প্রতি গুগলে (Expertise + Authority + Trustworthiness) EAT আপডেট এর পর অণেকেই মাল্টি নিশে সাইট করা থেকে বিরত থাকতে বলছেন।
কয়েকটি নিশ সাইটের উদাহরন –
- 10beasts.com - বিখ্যাত অ্যামাজন এফিলিয়েট টেক নিস ওয়েবসাইট
- tripsavvy.com - ট্রাভেল নিশ ওয়েবসাইট।
- toptenreviews.com - মাল্টি নিশ সাইট
প্যাসিভ ইনকাম কি?
অনলাইন মার্কেটিং কমিউনিটিতে যারা টুকটাক বিচরন করেন তারা হয়তো “প্যাসিভ ইনকাম” টার্মটার সাথে পরিচিত। এমাজন এফিলিয়েট থেকে ইনকাম ও প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব।
কিন্তু এই প্যাসিভ ইনকাম এর অর্থটা কি? প্যাসিভ ইনকাম এর অর্থ জানতে হলে আপনারকে “একটিভ ইনকাম” সম্পর্কে জানতে হবে।
একটিভ ইনকাম
সোজাভাবে বললে, একটিভ ইনকামের অর্থ হলো “নিদৃষ্ট সময়ে শ্রমের বিনিময়ে প্রাপ্য পারিশ্রমিক” ধরা যাক আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করেন। একটি কাজ ৩ ঘন্টায় শেষ করে আপনি ৫০০০ টাকা পারিশ্রমিক পেলেন, এটি আপনার একটিভ ইনকাম। এছাড়া আপনি আপনার অফিসে কাজ করে মাস শেষে যে পারিশ্রমিক পান সেটিও একটিভ ইনাকামের মধ্যে পড়ে। আমাদের ইনকামের বেশিরভাগই একটিভ ইনকাম
০১। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আসতে হলে আপনাকে ‘নিস’ শব্দের সাথে পরিচিত হতেই হবে। এক কথায় বলা যায়, যে বিষয় বা ক্যাটাগরির উপর আপনার মার্কেটিং দক্ষতা দ্বারা প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন,সেই বিষয় বা ক্যাটাগরিই হলো ‘নিস’ । সাধারণত সেই প্রোডাক্ট বিষয়ে আপনাকে বিশদ আলোচনা করতে হয় ফলে ভিসিটর জানতে পারে প্রোডাক্ট সম্পর্কে এবং ক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এখানে টিপস হলো ফিসিক্যাল প্রোডাক্ট নির্বাচন করা।
০২। আপনি চেষ্টা করুন যেন আপনার বিশদ আলোচনা বা কনটেন্ট এর মধ্যে আপনার প্রোডাক্টের যেন লিঙ্ক থাকে।
০৩। অবশ্যই প্রোডাক্টের ইমেজ ব্যাবহার করতে হবে এবং ইমেজটিকে এমাজনের প্রোডাক্টের লিঙ্ক দ্বারা সংযুক্ত করতে হবে০৪। আপনি ব্লগ লেখেন বা ডিরেক্ট প্রোডাক্ট রিভিউ দেন, সব ক্ষেত্রে অ্যামাজনের সাইট লিঙ্ক আপ করুন। সেটা ০৬ থেকে ১১ বা তার বেশি।
০৫। দেরি না করে সরাসরি প্রোডাক্ট রিভিউতে চলে যান ,কারন এই ধরনের কনটেন্টে প্রোডাক্টের লিঙ্কে ক্লিক পড়ে বেশি।০৬। অবশ্যই ইমেইল মার্কেটিং করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে কনটেন্ট এ বা সাইটের অন্য অংশে ‘ সাইন আপ হেয়ার ‘ ‘ Sign Up Here ‘ এই টাইপের কথাবার্তা দিয়ে ভিসিটরকে সাইন আপ করাতে পারেন, এবং মেইল লিস্ট তৈরি করে নতুন পোষ্ট বা প্রোডাক্ট আসলে তাদের মেইল করতে পারেন।
০৭। বিভিন্ন স্পেশাল দিনে টার্গেট করুন, আপনার নিস অনুসারে এবং কুপন ও প্রমো কোড সংযুক্ত ব্যানার বা পোষ্ট করুন আপনার ওয়েবসাইটে।
০৮। এমাজনের যে প্রোডাক্ট সব চেয়ে বেশি কমিশন দেয় সেই সমস্ত প্রোডাক্ট নির্বাচন করুন।
০৯। অধিক ট্র্যাকিং আইডি ব্যাবহার করুন এবং Buy Now বাটন করবেন।
১০। প্রোডাক্টের গুণাবলীর পার্থক্যের চার্ট তৈরি করুন। যাতে কাস্টমার একটা সামারি পায়।
১১। Amazon.com/best seller এই লিঙ্ক থেকে জেনে নিন বেস্ট সেলার কারা, তারপর প্রতি সপ্তাহে বা মাসে বেস্ট সেলারদের একটা তালিকা দ্বারা পোষ্ট পাব্লিশ করুন।
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবোঃ
উপরের বর্ণনা গুলো সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। তো প্রথম কথা হলো আপনার নিসের আলোকে কিওয়ার্ড নির্বাচন পক্রিয়া। নিস সিলেক্ট এর পর এটা হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং জগতে প্রবেশের প্রথম ধাপ। তাহলে দেখে নেয়া যাক আমাজন কিওয়ার্ড রিসার্চ পক্রিয়াঃআপনি যদি একেবারের গুগলের উপর নির্ভর করে থাকনে তাহলে ভুল হবে। সাথে সাথে আপনাকে এমাজনে সার্চ এর দিকে নজর দিতে। কোন টাইপের কাস্টমার কোন ধরনের প্রোডাক্ট কিনবে এবং কেনার সময় তারা কি লিখে আমাজনে বা গুগলে সার্চ দিবে। এটা বুঝতে পারলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং একটু জেনে গেলেন।
- আপনাকে অ্যামাজনের সার্চ কেমন ভাবে কাজ করে, তাদের স্ট্রাকচার কেমন, কেমন দাম,রিভিউ ইত্যাদি সম্বন্ধে আপনার a2z ধারনা রাখতে হবে। তাহলে আপনি সহজে কিওয়ার্ড বের করতে পারবেন।
- আপনাকে মাথার মধ্যে রাখতে হবে আপনার সাইটের ভিসিটরকে সেলিং পর্যায়ে নিতেরযেতে হবে। তাই আকর্ষণীয় কনটেন্ট মেক করতে হবে যেখানে প্রোডাক্টের বিস্তারিত বর্ণনা থাকে। তাহলে যে কিওয়ার্ডে বা নিসে ভালো দক্ষ বা মনোবল থাকবে সেটাই সিলেক্ট করতে হবে।
- এখন আপনাকে জানতে হবে- কিওয়ার্ড ও লং টেইল কিওয়ার্ড কি? একটা উদাহরন দিয়ে শুরু করা যাক,ধরুন আপনি একটা বদনা কিনবেন। তাহলে আপনি এমাজনে লিখলেন “ভালো বদনা” এটা হলো একটা কিওয়ার্ড আর যদি আপনি খুব ভালো বদনা চান তাহলে লিখবেন “ভালো বদনা” এটাও কিওয়ার্ড । এখন যদি আপনার বউ বলে বেগুনি ভালো বদনা দরকার, তাহলে লিখবেন “বেগুনি ভালো বদনা ক্রয়” এবং এটাই হলো লং টেইল কিওয়ার্ড । এখন স্বভাবত আপনি চাইবেন ‘ভালো বদনা’ ,’ভালো বদনা’ কিওয়ার্ড নির্বাচন করি কারন এটাই সব চেয়ে বেশি চলবে কারন এর সার্চ ভলিউম বেশি। আর আপনার জন্য তক্ষনি চ্যালেঞ্জ নেমে আসে। তাই সহজে কম সাফল্য পেতে বিগিনারদের বলা হয়ে থাকে লং টেইল কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে।
- কে কি করলো দেখার দরকার নেই আপনার ভালো কিওয়ার্ড বের হয়ে গেলে আপনি কনটেন্ট ডেভেলপ ও এস ই ও করুন। এখানে কে দ্বারা কম্পিটিটর বোঝানো হয়েছে।
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলা কোর্স
আপনি নিজেকে একজন দক্ষ অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েটর তৈরি করতে চান। এবং প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ ডলার আয় করতে পারবেন। এখন আপনার জন্য দরকার সঠিক গাইডলাইন। আর এই গাইডলাইনের জন্য প্রিমিয়াম ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করেছেন N SHAMIM, MD FAKRUL ISLAM,Khalid Farhan এর মত জনপ্রিয় ও অনলাইন প্রফেশনাল ট্রেইনার। যারা আপনাকে নিয়ে যাবে এফিলিয়েটের দুনিয়ায়। তাদের পুরো ভিডিও সিরিজ এখন অনলাইনে পাচ্ছেন। যদি ইন্টারনেট না থাকে তাহলে কুরিয়ারে ডিভিডি ও ব্যাবস্থা রয়েছে। তাই,অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করে ঘরে বসে আয় করুন।
আমাদের ওয়েবসাইটের ফ্রিলেন্সিং কেয়ার ক্যাটাগরির সকল পোস্ট পড়ুন।
This Post About:
আমাজন থেকে আয়,আমাজন মার্কেটিং,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল,আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়,এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো,এফিলিয়েট মার্কেটিং বই,অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ঘরে বসে আয়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বই,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং pdf,অ্যামাজন ডট কম,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল,অ্যামাজন বাংলাদেশ,এফিলিয়েট মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলাদেশ,আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি,এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুন,এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স,এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট,এফিলিয়েট মার্কেটিং ২০২০,
একটিভ ইনকামের কিছু অসুবিধা
- একটিভ ইনকাম ফ্লেস্কিবল না
- পারিশ্রমিক পেতে অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে হয়
- ঝামেলা বাধলে, চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভবনা
- নিদৃষ্ট সময় (৯টা – ৫টা) কর্মক্ষেত্রে বসে থাকতে হয়।
- একটিভ ইনকাম সীমিত এবং নিদৃষ্ট পরিমান হয়।
প্যাসিভ ইনকাম
প্যাসিভ ইনকাম হলো এমন এক ধরনের ইনকাম ব্যাবস্থা, “যেটা করতে গেলে আপনাকে সবসময় এর সাথে লেগে থাকত হবে না”। বাস্তবিক উদাহর হিসেবে বলা যায়, আপনি একটি বাড়ি বানালেন এরপর ৫জন ভাড়াটিয়াকে বাড়ির ৫রুম ভাগ করে দিলেন। ইনকামের জন্য প্রতিমাসে ভাড়া উঠানোর বাইরে আপনাকে খুব বেশি কিছু করতে হচ্ছে না
এটা অফলাইনে প্যাসিভ ইনকামের চমৎকার একটি উদাহরন।অনলাইনেও বিভিন্ন জনপ্রিয় প্যাসিভ ইনকামের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং, অনলাইন কোর্স, ইবুক, স্টক ফটো ইত্যাদি।
প্যাসিভ ইনকামের কিছু সুবিধা
- ইনকাম সোর্স তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত নিদৃষ্ট সময়, মেধা, অর্থ এবং শ্রম দিতে হয়, পরবর্তীতে শুধু এটি মেইনটেইন করলেই হয়
- সবসময় এর সাথে যুক্ত থাকতে হয় না।
- সময় এবং অর্থের পূর্নাঙ্গ স্বাধীনতা পাওয়া যায়।
- একটিভ ইনকামের থেকে কম কষ্ট করে বেশি উপার্যন করা যায়।
- কারো উপর নির্ভরশীল হতে হয় না।
আশাকরি একটিভ এবং প্যাসিভ ইনকামের ব্যাপারে আপনারা পরিষ্কার ধারনা পেয়েছেন। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে প্রাপ্ত ইনকাম ও প্যাসিভ ইনকাম। এখানে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, SEO করে সাইট কে র্যাক করানোর পর খুব বেশি কাজ করার প্রয়োজন নেই। এরপর প্রতিমাসে যে ইনকাম টা আসবে সেটি প্যাসিভ ইনকাম। প্যাসিভ ইনকাম কথাটার শুরু কোথাথেকে হয়েছে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা না গেলেও অনেকে ধারনা করে বিখ্যাত এফিলিয়েট মার্কেটার Pat Flynn এর স্মার্ট প্যাসিভ ইনকাম, প্যাসিভ ইনকামের জন্য বিখ্যাত ওয়েবসাইট।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং” কারা করতে পারবে?
এটি খুব গুরুত্বপূর্স একটি পয়েন্ট, “অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং” কাদের জন্য? আপনি কি এটা করতে পারবেন? এধরনের প্রশ্ন মনে আসাটা স্বাভাবিক। কারন চারিদিকে শুধু ইনকাম এর স্ক্রিনশট এর ছড়াছড়ি, যা নতুন দের বিভ্রান্ত করার জন্য যথেষ্ট।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়ার আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনি সত্যিই এটা করতে চান কিনা। কারন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন কোনো পদ্ধতি না যা শিখে আপনি ১ম মাস শেষেই হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। একটি একটি লম্বা প্রকৃয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে এখানে অর্থের ও প্রয়োজন হয়। তবে ব্যাক্তিগত এক্সপার্টিজ থাকলে এই খরচ অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত তাদের জন্য যারা অনলাইন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপারে আগ্রহী। যথেষ্ট আগ্রহ, প্রচুর শেখার ইচ্ছে, এবং মোটামুটি ইংরেজী জ্ঞান থাকলে, যে কেউ বেশ ভালো ভাবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
কি কি বিষয় জানতে হবে
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ন বিষটি হলো SEO। আপনার SEO সম্পর্কে অল্পবিস্তর ধারনা থাকা মানে আপনি যে কারো থেকে অর্ধেক এগিয়ে থাকলেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো ইংরেজি জানা। তবে এটা মেন্ডেটরি না।ইংরেজীতে আপনি ভালো হলে, কন্টেন্ট / আর্টিকেল আউটসোর্স না করতে হলে প্রযেক্ট এর খরচ অর্ধেক কমিয়ে আনা সম্ভব।
তবে অনেকেই ইংরেজী জানা থাকলেও ব্যক্তিগত ব্যাস্ততার জন্য কন্টেন্ট বাইরে থেকে আউটসোর্স করে নেন।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য SEO সম্পর্কে ধারনা ( Advanced SEO অনলাইন কোর্স নিয়ে, বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন) এবং মোটামুটি জ্ঞান থাকলে এখান থেকে সহজেই ৩০০-৫০০ ডলার প্রতি মাসে ইনকাম করা সম্ভব।
যেহেতু আপনার অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য একটি ওয়েবসাইট থাকবে তাই ওয়েবসাইট ডিজাইন সম্পর্কে ধারনা থাকলে ভালো হয়। কোর্সে আউটলাইনে দেখতে পাবেন কোর্সের শুরুতে ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ৩-৪ টি ক্লাস রাখা হয়েছে। অর্থাৎ আপনি যদি নতুনও হন তারপরও খুব বেশি সমস্যা হবে না।
কি পরিমান সময় দিতে হবে
আর্টিকেলের শুরুতেই আমি পরিষ্কার বলে দিয়েছি যে, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সল্প সময়ে হাজার ডলার ইনকাম করার পদ্ধতি না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়তে হলে আপনাকে এর পিছনে লেগে থাকতে হবে। আমার মতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে একটি সাইট থেকে ৩০০-৫০০ ডলার ইনকামের জন্য প্রতিদিন ৩-৪ঘন্টা করে মিনিমাম ১ বছর সময় হাতে নিয়ে কাজে নামা উচিত।
আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা মতে একটি ওয়েবসাইট থেকে প্রথম আর্নিং আসার জন্য ৩-৪ মাস অপেক্ষা করতে হয় (এটা কারো ক্ষেত্রে বেশি/কম হয়) এরপর এই ইনকাম কে স্কেলআপ করে ৬-৮ মাসে এটিকে ৩০০-৫০০ ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
অ্যামাজন কমিশন স্ট্রাকচার
আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এমাজন এর কোনো পন্য বিক্রি হলে আপনি সেখান থেকে একটি % কমিশন পাবেন। এটাই এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটারের ইনকাম। তবে সব পন্যের কমিশন এক না। চলুন নিচের ছবিটি দেখে নেই
এখানে প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি অনুযায়ী কমিশন এর % দেয়া আছে
ধরা যাক আপনি আপনার ওয়েবসাইটে সোফা, কুশন, অফিস চেয়ার সহ ফার্নিচার আইটেম প্রোমোট করেন। আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একজন ভিজিটর গিয়ে এমাজন থেকে ২০০ ডলার মূল্যের একটি সোফা কিনেছে। তাহলে আপনি সেখান থেকে ৮% হারে ১৬ ডলার কমিশন পাবেন। বিস্তারিত আরো জানতে পারেন এখান থেকে
অ্যামাজন নিস সাইট তৈরি করতে কি প্রয়োজন হয়
একটি অ্যামাজন এফিলিয়টে নিস সাইট তৈরি করতে শুরুতেই আপনাকে একটি নিশ সিলেক্ট করতে হবে। এখানে খেয়াল রাখতে হবে নিশ টি যেনো কম্পিটিটিভ না হয়। বেবি স্ট্রলার, ফিশিং এগুলো সুপার কম্পিটিভ নিশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চেষ্টা করতে হবে কিছুটা আনকমন এবং কম কমপিটিশন এর নিশ খুজে বের করতে। শুরুর দিকে নিস রিসার্চেই বেশি সময় দেয়া উচিত। নিশ রিসার্চ এর সময় আমি ব্যাক্তিগত ভাবে একটি বিষয়ে প্রাধান্য দেই তা হলো, নিশটা যেনো সিজনাল না হয়। অথ্যাৎ আপনার নিশ বা টপিক টা যদি সিজনাল হয় তাহলে আপনি বছরের একটা নিদৃষ্ট সময়ই সাইট থেকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন। উদাহরনস্বরুপ বলা যেতে পারে হাইকিং নিশের কথা। এটি একটি সিজনাল নিশ, এমেরিকান রা গ্রীষ্মে হাইকিং করে। তাই শীতে এ ধরনের প্রোডাক্ট কম সেল হয়। তারপর ও যদি আপনি কনফিডেন্ট থাকেন এই সময়ের মধ্যেই আপনি সাইটের আর্নি বের করে আনতে পারবেন তাহলে কাজ করা যেতে পারে।
নিশ সিলেক্ট করে নিয়ে ভালো কোনো কোম্পানী থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং নিতে হবে। এ ব্যাপারে আমার পছন্দ নেমচিপ (ডোমেইন হোস্টিং কেনার ব্যাপারে সাহায্য প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন) ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনা হয়ে গেলে যে কাজটি করতে হবে তা হলো সাইট টি ডিজাইন করা। আপনারা চাইলে থিম ফরেস্ট থেকে প্রিমিয়াম কোনো থিম কিনে নিতে পারেন। আমি আমার ওয়েবসাইটে থ্রাইভ থিম ব্যবহার করি। তবে ফ্রি থিমেও কাজ করা যায়।
এরপর, আপনার নিশের যে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চান সেগুলো খুজে বের করে নিতে হবে।
ঠিক তার পরেই আসবে, কীওয়ার্ড রিসার্চ, লো কম্পিটিভ কীওয়ার্ড খুজে বের করা খুব সহজ কাজ নয় এটি সত্য, তবে অসম্ভব নয়। চেষ্টা করতে হবে লো কম্পিটিটিভ এবং মোটামুটি সার্চ ভলিউম আছে এমন কীওয়ার্ড খুজে বের করার জন্য। এ ক্ষেত্রে আপনি চাইলে এক্সপার্ট কারোর সাহায্য নিতে পারেন, বা এই পার্টটি আউট সোর্স করতে পারেন।
পরবর্তীতে, লো/মিডিয়াম কম্পিটিটিভ কীওয়ার্ড এর উপর রিভিউ আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।
সর্বশেষে ওয়েবসাইট টি অনপেজ এবং অফপেজ সহ ওভারঅল SEO নিয়ে কাজ করে সাইটকে র্যাংক করতে হবে।
0 Comments